ব্রিটে‌নে কেয়ার, ওয়ার্ক পার‌মিট ও স্কিলড ওয়ার্কার ভিসায় গত দুই বছ‌রে কো‌টি কো‌টি টাকা খরচ ক‌রে আসা হাজার হাজার মানুষ এখন বেকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী আনতে খোলা বহু ভুয়া কোম্পানি এরই ম‌ধ্যে বন্ধ হ‌য়ে গেছে। এখন ভিসা বা‌তি‌লের আতঙ্কেই র‌য়ে‌ছেন এই বেকাররা। গত সোমবার (৭ আগস্ট) ২০২৩ থে‌কে এসব ভিসার ক্ষে‌ত্রে ‘জেনুইন‌নেস টেস্ট’-এর নতুন নী‌তিমালা কার্যকর করেছে ব্রিটিশ হোম অফিস।

নতুন নী‌তিমালায় আবেদনকারীকে প্রমাণ কর‌তে হ‌বে— তার কর্মস্থ‌লে প্রকৃতপ‌ক্ষে কা‌জের নিশ্চয়তা র‌য়েছে কিনা; নি‌য়োগদাতার সঙ্গে তার যোগা‌যোগ সরাস‌রি ছিল কিনা; আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হ‌য়ে‌ছে কিনা; আবেদনকারীর সং‌শ্লিষ্ট ভিসায় কাজ করার প্রশিক্ষণ, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা আছে কিনা; ব্যাংক হিসা‌বের সত্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়াটি টাকার বি‌নিম‌য়ে করা হ‌য়েছে কিনা।

প্রয়োজ‌নে ফো‌নে বা ভি‌ডিও ক‌লে আবেদনকারী ও নি‌য়োগদাতা‌র সাক্ষাৎকার নে‌বে হোম অফিস। নতুন নিয়‌মে আবেদনকারীর হোম অফিসে আবেদনের ‘কাভার লেটা‌রে’ এ সংক্রান্ত সকল তথ্য সু‌নি‌র্দিষ্টভা‌বে উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক করা হ‌য়েছে। ইতিম‌ধ্যে যা‌দের ‘কজ’ ইস্যু করা হ‌য়ে‌ছে, তা‌দের আবেদনগু‌লোও তদন্ত কর‌বে হোম অফিস। 

ব্রিটে‌নে ভুয়া কোম্পানিগু‌লো মানুষ আনার পর কাজ না দেওয়া, টাকার বি‌নিম‌য়ে কাজ দেখা‌নোর অসংখ্য অভি‌যো‌গের পরিপ্রেক্ষি‌তে মূলত এ প‌রিবর্তন আন‌ছে হোম অফিস।